সারা দেশের বন্যা পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক না হওয়ায় জুলাই মাসে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা হবে না। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আগস্ট মাসে এসএসসি পরীক্ষা শুরু হবে- এমন সিদ্ধান্ত গত ৩ জুলাই আন্তঃবোর্ডের এক সভায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার।
আজ (বুধবার) দুপুরে সচিবালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানিয়েছেন, বন্যায় অনেক শিক্ষার্থীদের বই হারিয়ে গেছে। এখন তাদের কাছে বই পৌঁছে দেওয়ার অন্তত ২ সপ্তাহ পর এবারের এসএসসি পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। তবে সেটি কবে নাগাদ হতে পারে- সুনির্দিষ্ট কোনো সময়ের কথা জানাতে পারেননি মন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা খোঁজ রাখছি নিয়মিত। এখনো কিছু কিছু এলাকায় শহর থেকে পানি নেমে গেছে, একদম গ্রাম পর্যায়ে এখনো হয়ত কোথাও কোথাও আছে। সেটাও হয়ত নেমে যাবে। কিন্তু ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বেশ কিছু জায়গায়। আমাদের কাছে তথ্য আসছে, আমাদের অনেক পরীক্ষার্থীর বইপত্র…স্বাভাবিক, ওই বন্যার মধ্যে লোকে তার একেবারে গুরুত্বপূর্ণ যা জিনিস সেটা নিয়ে, কোনো রকমে জানটুকু নিয়ে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। সেখানে বই নিয়ে আসার হয়ত সুযোগ হয়নি।
দীপু মনি বলেন, আমরা এখন পুরোটা অ্যাসেস করছি, আমাদের কত পরীক্ষার্থীকে নতুন করে বই দিতে হবে। আমাদের কাছে প্রতি বছর কিছু বাফার স্টক থাকে। এ রকম একটা বড় অঞ্চল নিয়ে বন্যা হয়ে পরীক্ষার্থী বই হঠাৎ এই পর্যায়ে হারিয়ে যাবে সেই রকমটা আসলে আমাদের বিবেচনায় ছিল না। আর সেটা প্রতি বছর রাখা হয়ত সম্ভবও না।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেখছি, হিসাব করছি। যদি প্রয়োজন হয় আমরা নতুন বই ছাপিয়েও ফেলব। তারপরও আমরা পরীক্ষার্থীদের হাতে তাদের বইগুলো পৌঁছে দেব, যাদের বই নষ্ট হয়েছে। তাদের হাতে বই পৌঁছে দেওয়ার পর অন্তত ২ সপ্তাহ সময় দিতে হবে, তারা বিরাট একটা ট্রমার মধ্যে দিয়েও গেছে। ঘর-বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে হয়েছে। অনেক পরিবার নিঃস্বপ্রায় হয়ে গেছে এই সময়ে। এটা হলো আমাদের মোটামুটি টাইমলাইন। সেটা গিয়ে কোন মুহূর্তে ঠেকবে সেটা বলা সম্ভব না।
শিশুদের ভ্যাকসিন নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিশুদের ভ্যাকসিনের বিষয়ে আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে কথা বলব। সেই বিষয়টা নিশ্চিত হওয়ার পরে আমরা পরবর্তী কার্যক্রম নিয়ে চিন্তা করতে পারব। এটা ঠিক সংক্রমণ আবার বাড়ছে। আমাদের সবাইকে অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। আমাদের ১২ এর উপরে সবার তো ভ্যাকসিন দেওয়া আছে। ১২ এর নিচে যদি ভ্যাকসিনটা দিয়ে ফেলতে পারি, তাহলে হয়ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার প্রয়োজন হবে না।